প্রকাশিত: ৩০/০৪/২০১৭ ৪:৩০ পিএম , আপডেট: ৩০/০৪/২০১৭ ৪:৩০ পিএম

নিউজ ডেস্ক:
উখিয়া সীমান্ত এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসী ভুট্টো বাহিনী প্রধান ফজল কাদের ভুট্টোকে প্রশাসন জেল হাজতে পাঠালেও তার সহযোগীদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বালুখালীর বহুল আলোচিত আলমগীর ভুলু হত্যা, মাদক, চোরাচালানি, ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। ভুট্টো কারাগারে থাকলেও ওখান থেকে কলকাঠি নাড়ছে। ভুট্টো বাহিনীর দলে রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের একাধিক নেতাকর্মী। পুলিশকে পাহারা দিয়ে তারা রাতের বেলায় সড়কে ব্যারিকেট বসিয়ে যানবাহনে লুটতরাজসহ পথচারীদের কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনতাই করে।

জানা যায়, ভুট্টোর নেতৃত্বে তার বাহিনী ইয়াবা ব্যবসা ছাড়াও শত বছরের পুরনো কবরস্থান কেটে সেখানে গড়ে তুলেছে সুরম্য অট্টালিকা। ইউপি সদস্য থাকাকালীন প্রভাব বিস্তার করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ে বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করায় ভুট্টোর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। ওই মামলায় সাবেক মেম্বার ফজল কাদের ভুট্টো বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তবে তার বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড পালংখালী ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নিরীহ লোকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। কারাবন্দী ভুট্টো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদকে পুঁজি করে সন্ত্রাসী কর্মকা-, জবরদখল ও ইয়াবার চালান এনে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। জামায়াত-বিএনপির ক্যাডারদের নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল। প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলাফেরা করছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা জানায়, বেআইনী কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় ভুট্টো বাহিনী কৌশলে ৩টি অস্ত্র দিয়ে যুবলীগের নেতা নুরুল আবছার ও জাহাঙ্গীরকে ফাঁসাতে ব্যর্থ চেষ্টা করে।

কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত দোকান দেখে পুলিশের (ডিবি) সন্দেহ জাগে। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি অংসা থোয়াই জানান, বালুখালীতে অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় অধিকতর তদন্তে হয়ত থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এদিকে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ফজল কাদের ভুট্টো গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে ভুলু হত্যাসহ ডজনখানেক মামলার আসামি ও ইয়াবার ডন খ্যাত জামায়াত নেতা আকবর আহমদকে বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির শিক্ষানুরাগী পদে অন্তর্ভুক্ত করায় অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুট্টো বাহিনীর সদস্যরা চাঁদার দাবিতে সম্প্রতি স্থানীয় হাজী আবদুল মজিদের ডান চোখ উপড়ে ফেলেছে। স¤পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে হতভাগা মজিদের চোখ। মামলা করায় ভুট্টো বাহিনীর ভয়ে কিছুদিন পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছিল আবদুল মজিদকে। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ভুট্টোকে শ্রীঘরে ঢোকানো হয়েছে শুনে এলাকায় ফিরে আসেন আবদুল মজিদ। তার বাহিনীর অপর সদস্যরা তাকে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মজিদ। ইউপি সদস্য নুরুল আবছারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জানান, এমন কোন বেআইনী কাজ নেই, যা টাকার লোভে ভুট্টো বাহিনীর সদস্যরা করতে পারে না। ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের পক্ষে দল দায়ভার নেবে না জানিয়ে পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মঞ্জুর বলেন, দুর্নীতি মামলায় ভুট্টো হাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা আছে আমার জানা নেই।।
সুত্র: জনকন্ঠ

পাঠকের মতামত

নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন বর্জনে জেলা বিএনপির লিফলেট বিতরণ

বান্দরবান জেলার আসন্ন নাইক্ষ‌্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনে বান্দরবান জেলা বিএনপির দিনব‌্যাপি লিফলেট বিতরণ করা ...

নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান, ৮টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির গহিন অরণ্যে দুর্বৃত্তদের আস্তানায় হানা দিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ...